রুদ্রর কবিতাংশ

•November 2, 2017 • Leave a Comment

প্রেমের নিকটে গিয়ে ফিরে আসি-বুকে ভালোবাসা নেই
জোস্নার নিকটে গিয়ে ফিরে আসি- চোখে স্বাধীনতা নেই
শ্রমের নিকটে গিয়ে ফিরে আসি- বাহুতে বিশ্বাস নেই
মানুষের কাছে গিয়ে ফিরে আসি- দেহে মমতারা নেই
নেই, নেই, ফুল নেই, পাখি নেই, রোদ নেই, স্নেহ নেই,
খেয়ে গেছে গোপন ঘাতক-

– রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

রণজিৎ দাশের কবিতাংশ

•November 9, 2015 • Leave a Comment

দুরকম বন্ধু
আছে পৃথিবীতে; একজন
ভিজিটিং আওয়ারে আসে, ফিরে যায়
সূর্যাস্তের আগে।
অন্যজন বসে থাকে হাসপাতালের গেটে,
অনন্ত দুঃখের রাত জাগে।”
>> রণজিৎ দাশ

শুধু আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে

•April 28, 2014 • Leave a Comment

শিশুটি জানালা দিয়ে বাইরে বের হতে থাকলে আমাদের ভেতর নিরাপত্তাহীনতা জাগে। তার কাছে নিয়ে যায় আমাদের সঞ্চিত সকল ভীতি। তাকে লিখিত বই দিয়ে বলি বনের ভেতর ছিলো বাঘ। সে হাসে। তাকে লিখিত বই দিয়ে বলি আকাশের ভেতর ছিলো বিদ্যুৎ। সে হাসে। তাকে লিখিত বই দিয়ে বলি জলের ভেতর ছিলো কুমির। সে হাসে। তখন আমরা বুঝি বইয়ের ভেতর সে এখনো প্রবেশ করেনি। বইয়ের ভেতর তাকে প্রবেশ না করালে চলবে কেনো। আমরা বই আনি বাজার থেকে। আমরা ভয় আমদানি করি নানা জায়গা থেকে যাতে আমাদের শিশুটি জানালা বন্ধ করা শিখে ফেলে। ভয়ের বর্ণমালা, জানালা বন্ধ করার বর্ণমালা যেনো সে শেখে তাড়াতাড়ি। আমরা এই প্রার্থনা করতে থাকি।

 

 

কবীর রানা’র গল্পগুলো বার বার পড়তে পড়তে এরকম অনেক বাক্য আমার প্রায় মুখস্ত হয়ে গেছে। আজ বিডিনিউজে জাফর স্যারের লেখাটা পড়ে এটুকু মনে হলো।

পরীক্ষার আগেই প্রশ্নগুলো ফাঁস হয়ে যাচ্ছে, কারা করছে?

লোভ।

আমরা লোভ করি আমাদের সন্তানের জন্য। আমরা লোভ করি আমাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ নিশ্চিন্তির জন্য। নিজস্ব মৃত্যুর আগে আমরা আমাদের সন্তানের নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে চাই শুধু, আর কিছু চাই না। আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে, অন্যের সন্তানগুলো বড্ড হাভাতে, ওরা মরুক পচুক… শুধু আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে।

আমরা চারপাশের সব মন্দতা, ভয় আর অনিশ্চয়তা থেকে আমাদের সন্তানগুলোকে দুহাতে আগলে রাখি, জাপটে ধরে রাখি, নিরাপদে রাখি, ভালোটুকু খেতে দিতে চাই… 
আর সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিরাপদ নিশ্চিন্ত রাখতে আমাদের অনেক অনেক টাকা প্রয়োজন হয়। তাই আমরা অধিক মুনাফার লোভে মাছে ফলে ফর্মালিন মেশাই, উপরির লোভে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে দেই, বৃক্ষ কেটে বিরাণ করি পৃথিবী, পাথর তুলে নদী মারি, রাসায়নিক মিশিয়ে নদী মারি, খাল বিল দখল করি, অন্যের জমি দখল করি, দুর্বল ভবন নির্মাণ করি, দুর্ঘটনাপ্রবন সড়ক আর সেতু নির্মাণ করি… নিজ নিজ সন্তানের ভবিষ্যৎ নির্মাণের প্রয়োজনে আমরা সবকিছু করতে পারি। হ্যাঁ, সবকিছু করতে পারি আমরা। পুরো পৃথিবী ধ্বংশ হয়ে যাক, অন্যের সন্তানেরা মরে ক্ষয়ে যাক, শুধু আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে। আমরা তাকে আগলে রাখি সযতনে।

আমার সন্তান যে ভবিষ্যতে বাঁচবে, সেই ভবিষ্যতে শুধু ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স আর পর্যাপ্ত জমি গাড়ি থাকলেই চলবে। আমার সন্তানের ভবিষ্যতে নিরাপদ পৃথিবী লাগবে না, প্রকৃতি পরিবেশ লাগবে না, বিশ্বস্ত বন্ধু লাগবে না, সুহৃদ স্বজন লাগবে না, ভালোবাসার সঙ্গী লাগবে না, নিরাপদ খাদ্য লাগবে না, প্রকৃত শিক্ষা লাগবে না, বনে পশু পক্ষী কিছুই লাগবে না, বিশ্বাস করুন কিচ্ছু লাগবে না… এমনকি আমার সন্তানের সেই সাদ্দাতের বেহেশতসম ভবিষ্যত পৃথিবীতে কোনো মানুষও লাগবে না… আমাদের শুধু একটাই একমাত্র চাওয়া… “শুধু আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে”

কিসের জন্য খেলা?

•March 30, 2011 • 3 Comments

খেলা দেখছি, ক্রিকেট… ভারত পাকিস্তান। শেবাগ আউট হলো, পাশের বাড়ি থেকে উৎফুল্লতার আওয়াজ এলো। শচীন আউট হলো [রিভিউতে বাতিল] পাশের বাড়ি থেকে তীব্র হাত তালি। ভারতের প্রতিটা উইকেট পতনেই তাদের উল্লাস। বুঝলাম, তারা পাকি সমর্থক।

আজকে খেলায় পাকিস্তান জিতলে নিশ্চিতভাবেই পাকি পতাকা নিয়ে মিছিল হবে ঢাকার রাস্তায়…
আচ্ছা, খেলার সঙ্গে যদি রাজনীতি না থাকে, যদি দেশ রাজনীতি সব তুচ্ছই হয় আর ধর্মটাই বড় হয়, তাহলে মিছিল কেন পতাকা নিয়ে হয়?

পাকি সমর্থক বাঙালি[!]রা পাক সমর্থনের পেছনে প্রধানত দুটো যুক্তি ব্যবহার করে
১) খেলা খেলাই, এর সঙ্গে রাজনীতি মেশানো যাবে না
২) পাকিস্তানই একমাত্র মুসলিম ক্রিকেট পরাশক্তি
খেলা যদি খেলাই শুধু হয়, রাজনীতি না মেশানো যায়, তাহলে ধর্ম মিশে কোন যুক্তিতে?

মাতৃভূমি, পৈশাচিক গণহত্যা, নারকীয় গণধর্ষন সবকিছু দূরে সরিয়ে রাখা যায় ক্রীড়াসুলভ মানসিকতার কারণে, আর ধর্মের বেলায় সব মাফ!

খেলাটা কিসের? ধর্মের নাকি রাজনীতির?
উত্তর একটাই, রাজনীতির। ধর্মের জন্য কেউ খেলে না, আন্তর্জাতিক আসরে খেলার প্রথম এবং প্রধান উদ্দেশ্যটাই দেশ আর রাজনীতি।
এজন্যই খেলার আগে জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। পতাকা ওড়ানো হয়। খেলায় জিতে পতাকা নিয়ে গোটা দল মাঠে দৌড়ায়, দর্শকেরা পতাকা নিয়ে নাচে। নিজ দেশের পতাকাকে সবার উর্ধ্বে তুলে ধরার জন্যই খেলা। এতো আয়োজন। ব্যাপারটা পুরাই রাজনীতির

খেলায় খেলার চেয়ে রাজনীতিটাই মুখ্য… দেশটা আর দেশের পতাকাটাই মুখ্য… ধর্ম এখানে না। ধর্ম ব্যক্তিগত ব্যাপার। একই দলে বিভিন্ন ধর্মের লোক থাকতে পারে। যার যার ধর্ম তার তার কাছে, লাকুম দ্বীনুকুম ওয়ালিয়াদ্বীন

অতএব, খেলার সঙ্গে কিছু মেশাতে হলে রাজনীতিটাই মিশান, ধর্ম না

ধর্মের জন্য নামাজ পড়ুন, রোজা রাখুন, যাকাত দিন, আর খেলার সঙ্গে রাজনীতি মিশান বেশি বেশি করে। তারপর পাকিস্তানের পতাকাটা ছুঁড়ে ফেলে বন্ধ করুন পাকিসমর্থন

আগাম ধন্যবাদ :)

……………………………..
মার্চ ৩০, ২০১১

Hello world!

•November 18, 2009 • 1 Comment

Welcome to WordPress.com. This is your first post. Edit or delete it and start blogging!